বাঙালিরা রাস্তার পাশের চায়ের দোকানে আড্ডা দিতে পছন্দ করে কেন?
এই প্রশ্নটির সাথে জড়িয়ে আছে, বাঙালীর বেকার জীবনের সময়টুকু,
কারণ, যাঁরা চাকরী, বাকরী বা ব্যবসা করেন, তাঁদের পক্ষে রাস্তার পাশে চায়ের দোকানে আড্ডা মারার সেরকম সময়, সুযোগ, সঙ্গত কারণেই থাকে না।
বেকার জীবনে বন্ধুরা মিলে, রাস্তার পাশে, গৌরাঙ্গ দার চায়ের দোকানে আড্ডা মারতাম।
রাস্তার পাশে চায়ের দোকানে আড্ডার কারণ,
১। খরচের দিকটি অতি কম…,
চা বলেই, একটাকে দুটো বা দুটো কে তিনটে..(অর্থাৎ, এক কাপ চা কে, দুটো কাপে, বা দুই কাপ চা কে তিনটে কাপে, এই হিসেব..)
২। খোলামেলা জায়গায় বসে গল্প করার সুযোগ…,
৩। রাস্তা দিয়ে চলে যাওয়া নানারকমের লোকজন দেখা, চায়ের দোকানে আসা নানারকম লোকজনের নানারকম কথা শোনার সুযোগ…,
৪। একদম নি:শুল্ক ভাবে দৈনিক খবরের কাগজ পড়ার সুযোগ, কারণ, দোকানীই পয়সা দিয়ে খবরের কাগজ রাখেন কাস্টমারের জন্য…,
৫। বড় দোকানে যেমন ওয়েটার বিল নিয়ে আসলে, উঠে চলে যাওয়ার প্রচ্ছন্ন বার্তা বুঝা যায়, রাস্তার চায়ের দোকানে সেরকম অনুভব করার প্রয়োজনই হয় না…,
দোকানী, কাস্টমারের বসার জায়গা করার চেষ্টায় যদি বা সিট খালি করার জন্য বলতেন, চ্যালেঞ্জ জানিয়ে আমাদের উওর,
"আবার তিনটারে পাঁচটা করেন…",
চলতে থাকা আড্ডা কে অনড় অবস্থানে রাখার সুযোগ…,
৬। আড্ডার সূত্রে দোকানদারের সাথে যে প্রচ্ছন্ন সম্পর্ক তৈরী হয়, তাতে, "আজকে না, কালকে নিয়েন (পয়সা)" বলার সুযোগ…,
বিপদ ও হয়।
যে দোকানে আমরা আড্ডা মারতাম, সে দোকানী বিনীত ভাবেই একদিন বলেই দিলেন যে, ওই রকম একটারে দুইটা, তিনটারে পাঁচটা করে, এত সময় দোকানের বসার বেঞ্চ ব্লক করে রাখলে, ব্যবসার ক্ষতি হয়..।
লজ্জিত আমরা,
"না, না, এখন থেকে আর ব্রোকেন নয়, ফুল কাপ চা ই আমরা নেবো গৌরাঙ্গ দা…"
ফুল কাপ চা নিয়েই চলতে থাকলো, অক্ষত আড্ডা।
কিন্তু, তাতেও রেহাই নেই।
একদিন দেখলাম, আমরা দোকানের যে জায়গায় বসে আড্ডা মারতাম, ওখানেই একটা ছোটো কাগজে কিছু লিখে, ঠিক আমাদের মাথার উপরে, দেয়ালে সাঁটিয়ে রাখা হয়েছে।
কী লেখা ছিলো ওই কাগজে ?
কারণ, যাঁরা চাকরী, বাকরী বা ব্যবসা করেন, তাঁদের পক্ষে রাস্তার পাশে চায়ের দোকানে আড্ডা মারার সেরকম সময়, সুযোগ, সঙ্গত কারণেই থাকে না।
বেকার জীবনে বন্ধুরা মিলে, রাস্তার পাশে, গৌরাঙ্গ দার চায়ের দোকানে আড্ডা মারতাম।
রাস্তার পাশে চায়ের দোকানে আড্ডার কারণ,
১। খরচের দিকটি অতি কম…,
চা বলেই, একটাকে দুটো বা দুটো কে তিনটে..(অর্থাৎ, এক কাপ চা কে, দুটো কাপে, বা দুই কাপ চা কে তিনটে কাপে, এই হিসেব..)
২। খোলামেলা জায়গায় বসে গল্প করার সুযোগ…,
৩। রাস্তা দিয়ে চলে যাওয়া নানারকমের লোকজন দেখা, চায়ের দোকানে আসা নানারকম লোকজনের নানারকম কথা শোনার সুযোগ…,
৪। একদম নি:শুল্ক ভাবে দৈনিক খবরের কাগজ পড়ার সুযোগ, কারণ, দোকানীই পয়সা দিয়ে খবরের কাগজ রাখেন কাস্টমারের জন্য…,
৫। বড় দোকানে যেমন ওয়েটার বিল নিয়ে আসলে, উঠে চলে যাওয়ার প্রচ্ছন্ন বার্তা বুঝা যায়, রাস্তার চায়ের দোকানে সেরকম অনুভব করার প্রয়োজনই হয় না…,
দোকানী, কাস্টমারের বসার জায়গা করার চেষ্টায় যদি বা সিট খালি করার জন্য বলতেন, চ্যালেঞ্জ জানিয়ে আমাদের উওর,
"আবার তিনটারে পাঁচটা করেন…",
চলতে থাকা আড্ডা কে অনড় অবস্থানে রাখার সুযোগ…,
৬। আড্ডার সূত্রে দোকানদারের সাথে যে প্রচ্ছন্ন সম্পর্ক তৈরী হয়, তাতে, "আজকে না, কালকে নিয়েন (পয়সা)" বলার সুযোগ…,
বিপদ ও হয়।
যে দোকানে আমরা আড্ডা মারতাম, সে দোকানী বিনীত ভাবেই একদিন বলেই দিলেন যে, ওই রকম একটারে দুইটা, তিনটারে পাঁচটা করে, এত সময় দোকানের বসার বেঞ্চ ব্লক করে রাখলে, ব্যবসার ক্ষতি হয়..।
লজ্জিত আমরা,
"না, না, এখন থেকে আর ব্রোকেন নয়, ফুল কাপ চা ই আমরা নেবো গৌরাঙ্গ দা…"
ফুল কাপ চা নিয়েই চলতে থাকলো, অক্ষত আড্ডা।
কিন্তু, তাতেও রেহাই নেই।
একদিন দেখলাম, আমরা দোকানের যে জায়গায় বসে আড্ডা মারতাম, ওখানেই একটা ছোটো কাগজে কিছু লিখে, ঠিক আমাদের মাথার উপরে, দেয়ালে সাঁটিয়ে রাখা হয়েছে।
কী লেখা ছিলো ওই কাগজে ?
কোন মন্তব্য নেই
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন