Header Ads

Header ADS

প্রতিটি মানুষের জন্য কিছু অপ্রিয় কথা পার্ট ০১

১। কোন মানুষের হাল ছেড়ে দেওয়া উচিত না। জীবনে অনেক বাঁধা আসবে সেটা পার করতে হবে।জীবনে বাঁধা না আসলে জীবন সম্পর্কে জানা যায় না।

২।সোহাগ করা তারই সাজে শাসন করে যে। এটি একটি প্রবাধ। কাউকে এমন পাত্তা দেওয়া উচিত না যে আপনার মূল্যই বুঝতে চেষ্টা করে না।

৩। একা থাকাই সবচেয়ে বুদ্ধিমানের কাজ। একা মানুষের সঙ্গী হিসেবে বইকে সাথে রাখাই উওম।

৪।সত্য এসেছে মিথ্যা বিলুপ্ত হয়েছে। অনেক মূল্যবান কথা। মানুষ সত্যিকেও মিথ্যা করতে পারে নিজের সুবিধার জন্য। সবাই চাই সুবিধা আর সুবিধা আর কিছু না।

৫।যত তাড়াতাড়ি আয় করা যায় সেটাই ভালো। টাকা ছাড়া এই দুনিয়ায় সম্মান পাওয়া অসম্ভব। টাকা আর টাকা। এই মিছা দুনিয়ায় অকল্পনীয় খুশি ক্রয় করা সম্ভব। টাকার মূল্য দেওয়া।

৬। সঠিক সময়ে সঠিক ডিসিশন না নেওয়া। একটা ডিসিশন লাইফ চেঞ্জ করে দিতে পারে।

৭। টাইম = টাকা এটি বুঝতে সময় লেগেছে আমার। এটি যত তাড়াতাড়ি আয়ত্ত করতে করা যায় আপনার জীবনে খুশিতে ভরে যাবে।

৮। দ্যা মিরাকল মনিং এই বইটি এখনো পড়ে নি তবে এই বই সম্পর্কে অনেক ধারণা পেয়ে গেছি ইউটিউব আর বই রিভিউ এর মাধ্যমে এখান থেকে একটা জিনিস আয়ত্ত করতে পেরেছি সেটি আমার আরও ৪ বছর আগে প্রয়োজন ছিলো এই জিনিসটি পেলে হয়তো জীবনের মোড়টা অন্য রকম হতো যাক আফসোস করিনা এসব নিয়ে। এটা মনে করি হয়তো এটাই আমার উপযুক্ত সময় তাই এখন আয়ত্ত করতে পেরেছি। অতিশিগরই এই বইটি পড়বো।

৯। সময়ে এক ফুট অসময়ে দশ ফুট। একটা চিরন্তন সত্যি কথা।আপনি আমি এটার ভুক্তভোগী।

১০। আবেগ দিয়ে বিবেচনা করা একটা মারাত্মক ভুল।মানুষের আবেগ থাকা ভালো এটি যেন অতিরিক্ত না হয়, এই আবেগের কারণে অনেক কষ্ট সহ্য করতে হয়েছে।

১১। জানিনা এই স্কিলটি কি করে তৈরি হয়েছে কোন ইমোশনাল মুভির দৃশ্য, কোন মায়াময়ী লেখা, কোন অর্থপূর্ণ ছবি এগুলো পড়লে/দেখলে চোখ দিয়ে অটোমেটিক পানি চলে আসে এটা নিয়ন্ত্রণ করতে পারি না এটি কি ভালো লক্ষণ নাকি খারাপ লক্ষ্মণ সেটাও জানি না। শত কষ্ট ফেলেও চোখ থেকে এক বিন্দুমাত্র পানি আসে না।

১২। নিজের আইডিয়ার উপর ভিত্তি করে অটল থাকা অনেক কষ্ট কর।আপনার আইডিয়া যদি দম থাকে না সেটা থেকে যদি ৫- ৬ বছরেও এক পয়সার টাকা আয় না হয় না তবুও এই আইডিয়া ঠিকে থাকতে পারলে আপনি /আমি অবশ্যই সফলতা শিহরে পৌঁছাতে পারবে।

১৩। শিখতে ভালো বাসি। নিজের রুলসে নিজেই কঠোরভাবে পালন করতে চেষ্টা করি। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব রুলস তৈরি করে ফেলা এটা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।

১৪। অতি সহজে কাউকে বিশ্বাস করে বেইমানি শিখার হওয়ার সহজে কাউকে বিশ্বাস করি না এখন। যেমন দুনিয়ায় তেমনই আমি। তবুও দিনশেষে নিজেকে খুজি নিজের মাঝে।

১৫। অতি ভক্তি চোরের লক্ষণ।এটা বলার কারণ কি জানেন আপনি এমন কোন মানুষকে বেশি সম্মান দেওয়া শুরু করবেন না যা আপনাকে অসম্মান করতে পারে। একটা স্যারের কথা মনে পড়ে সবসময় আমি তোমাদের সাথে সব সময় ফ্রেন্ডলি থাকবো কিন্তু আমি তোমাদের ফ্রেন্ড না।

১৬। স্কুল-কলেজ এর শিক্ষা আপনাকে জব পেতে সহায়তা করতে পারে এটি দ্বারা আপনি বেশিদূর এগোতে পারবেন না যদি আপনার কাজের দক্ষতা না থাকে।

১৭।  জীবন সব সময়ই সচল। আপনি এখন যে কর্মস্থলে কাজ করছেন ভাবছেন আপনি ছাড়া সব অচল। আসলে কিন্তু না। আপনি যদি আজ কাজ ছেড়ে দেন তাহলে কর্মস্থলে সাময়িক সমস্যা তৈরি হবে, কিন্তু খুব দ্রুত আপনার উপস্থিতি সবাই ভুলে যাবে। তেমনি আজ আপনি হয়তো বন্ধুমহলে বেশ জনপ্রিয়। আপনাকে ছাড়া কোনো আড্ডাই জমে না। জেনে রাখুন, আপনি না থাকলেও আড্ডার রং কোনো অংশেই মলিন হবে না।

১৮।. কোনো কিছুই জীবনে চিরস্থায়ী নয়। আবেগ, অনুযোগ কিংবা অভিযোগ-কোনো কিছুই চিরস্থায়ী নয়। সামাজিক সম্পর্কগুলো সব সময়ই এক রকমের গাঢ় হবে না। আজ আপনার কাছে যাকে ভালো লাগছে, কালকে তাকে আপনার ভালো না-ও লাগতে পারে। আজ যিনি প্রশংসা করছেন, কাল তিনি আপনার কঠোর সমালোচক হতেই পারেন।

১৯।. নিজেকে কখনোই অন্যদের সঙ্গে তুলনা করবেন না। নিজেকে নিজের সঙ্গে তুলনা করতে শিখুন। বন্ধুর ভালো চাকরির খবর শুনে নিজেকে হেয় করবেন না, বন্ধু উৎসাহ দিয়ে নিজের পথ গোছানোর চেষ্টা করুন।

২০। আর্থিক স্বাধীনতা আপনার জীবনে স্বাচ্ছন্দ্য এনে দেয়। ধার করার অভ্যাস কিংবা ঋণে নিজেকে জড়াবেন না। চেষ্টা করুন নিজের হাতে আয় করতে। যতটা আয় করবেন, তা বুঝে ব্যয় করতে শিখুন। প্রয়োজনের বাইরের ব্যবহারের জিনিসপত্র কেনা থেকে বিরত থাকুন। অভিজ্ঞতা অর্জনের চেষ্টা করুন। দামি মুঠোফোনে যতটা আনন্দ মেলে হয়তো মঞ্চনাটক দেখার অভিজ্ঞতা আরও আনন্দ দেবে। বস্তুগত আনন্দের চেয়ে অভিজ্ঞতা, স্মৃতি জমানোর দিকে মনোযোগ দিন।

২১। যত বড়ই দুঃখ আসুক না কেন, তা মলিন হবেই। প্রেমিককে হারানোর বেদনা, ভালো চাকরির সুযোগ বা পরীক্ষায় ভালো ফল-নানা কারণে ব্যর্থতা আর শোক জীবনে আসতে পারে। জেনে রাখুন, সব দুঃখই ধীরে ধীরে হালকা হতে থাকে। একদিন সব দুঃখ কাটিয়ে সাধারণ জীবনে অভ্যস্ত হয়ে পড়ি আমরা।

২২।শুধু পরিশ্রমেই জীবনে সাফল্য আসে না। পরিশ্রমের সঙ্গে বুদ্ধিবৃত্তিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও সৃজনশীলতাকে যোগ করতে হয়। বছরের পর বছর একই কাজ করতে করতে জীবনকে কখনোই একঘেয়েমির বৃত্তে আটকে ফেলবেন না। সিদ্ধান্ত নিয়ে ঝুঁকি নিতে শিখুন। ঝুঁকি নেওয়ার একটা সুবিধা হচ্ছে, আপনি জানেন না সামনে কী আসবে। এই অচেনা আর অজানা পথ সামনে নতুন দ্বার খুলে দেয়।

২৩। সাফল্য কিংবা ব্যর্থতাই জীবনের সবকিছু না। সময়কে নান্দনিক উপায়ে রাঙিয়ে বেঁচে থাকাই জীবন।

২৪।অন্যের মতামতকেই জীবনের সব বলে ভাববেন না। একই বই কারও কাছে ভালো লাগতে পারে, কারও কাছে খারাপ লাগতে পারে। তেমনি আপনার কাজ কারও কাছে ভালো লাগতে পারে, কারও কাছে খারাপ লাগতে পারে-সব সময় নিজের সঙ্গে বোঝাপড়ার মাধ্যমে কাজ করুন।

২৫।মুঠোফোন বা সামাজিক দুনিয়াই জীবনের সব না। বন্ধুর সাফল্যের ছবি ফেসবুকে দেখে মন খারাপ হতেই পারে আপনার। আবার দিনের অনেকটা সময় মুঠোফোনের পেছনে ব্যয় করার ফল কিন্তু ইতিবাচক হয় না। নিজের দক্ষতা বাড়ানোর চেষ্টা করুন। নিজের শখকে গুরুত্ব দিন।

২৬।নিজের পথ নিজেকেই চলতে হয়। অন্যরা আপনাকে দারুণ পছন্দ করে হয়তো, কিন্তু দিন শেষে আপনার পথ আপনাকেই অতিক্রম করতে হবে। প্রত্যেক মানুষের এগিয়ে চলার গল্প, কষ্টের গল্প ভিন্ন হয়-তাই আপনাকে কেউ এগিয়ে নেবে তা ভেবে কখনোই বসে থাকবেন না।

ঘড়ির কাঁটা থেমে নেই। প্রতিটি মুহূর্তেই জীবন থেকে একটি একটি করে সেকেন্ড হারিয়ে যাচ্ছে। যারা সেকেন্ড ধরে ধরে জীবনকে রাঙাতে পারে তারাই একসময় সাফল্যের শীর্ষে পা রাখে। প্রতিটি মুহূর্তকে রাঙিয়ে জীবনকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাওয়াই সংগ্রাম। সেই সংগ্রামের গল্প মানুষ আর মননভেদে নানা রকম। একেক জনের গল্প একেক রকম হলেও সবার জীবন সামনে এগিয়ে চলছে। কেউ বা ধীরে আবার কেউ বা দ্রুত-সবাই সামনে এগোনোর প্রচেষ্টায় প্রহর গুনছে। জীবন থেকে কিছু বাস্তব শিক্ষা নিতে পারেন।

জীবনে কারও উপর নির্ভর করার পরিবর্তে, আপনার দক্ষতা এবং কঠোর পরিশ্রম দিয়ে নিজেকে সাফল্যের দ্বারপ্রান্তে সন্ধানের চেষ্টা করুন কারণ আজ আপনার চারপাশের লোকেরা আপনাকে সময় দিচ্ছেন কারণ আপনার পরিস্থিতি ভাল, আপনাকে সম্মান করা গুরুত্বপূর্ণ তবে আমাদের বেশিরভাগ মানুষ সমাজ বা আত্মীয়রা এটি দেখে। লোকেরা এখন আমার এক আত্মীয়ের সংস্পর্শে আসে যার অর্থ আছে, যার কত সম্পত্তি আছে, কাদের কত বাড়ি রয়েছে ইত্যাদি ইত্যাদি।

সুতরাং আমি বলব যে জীবনটি খুব সুন্দর, যদি আপনি নিজের দায়িত্বে যত্ন নিতে পারেন তবে সমাজ এবং মানুষ সবাইকে সম্মান করবে এবং শ্রদ্ধা হ’ল অর্থ, জনগণের আবেগ, আবেগ এবং বুদ্ধি ইত্যাদি নয় ,জীবন এগিয়ে যাওয়ার নাম ।

প্রতিটি মানুষ যেমন এক এবং একই ব্যক্তি, তেমনি সমস্ত শব্দ, শিষ্টাচার, পদ্ধতি ইত্যাদি হয় এবং জীবনে আপনি বিভিন্ন ব্যক্তির সাথে দেখা করতে পারেন। জীবনে অগ্রসর হওয়ার জন্য, প্রতিটি মানুষের নিজস্ব চিন্তাভাবনা, ধারণা, কথা বলার পদ্ধতি, মন, মানসিকতা ইত্যাদি রয়েছে যদি আপনি এটি সাজিয়ে রাখতে পারেন তবে জীবনটি এত সুন্দর।

জীবনের বাস্তবতা নিয়ে কিছু কথা ও উক্তি

আপনি একা যে স্বপ্ন দেখেন তা কেবল একটি স্বপ্ন। এবং আপনার সকলের স্বপ্ন একটি বাস্তবতা: জন লেনন

বাস্তব বিশ্বের সীমাবদ্ধতা আছে, তবে কল্পনার জগতের কোনও সীমা নেই – জিন-জ্যাক রুশিউ

যেহেতু আমরা বাস্তবতা পরিবর্তন করতে পারি না, আসুন আমরা সেই চোখ পরিবর্তন করি যা বাস্তবতা দেখায়: নিকোস কাজান্টজাকিস

হয় আপনি বাস্তবের সাথে আপস করেন বা বাস্তবতা আপনার সাথে মিশে যায় – অ্যালেক্স হ্যালি

এক ব্যক্তির জন্য পাগলামি এবং অন্যের জন্য বাস্তবতা।– টিম বার্টন

বাস্তবতার বিরুদ্ধে লড়াইয়ের একমাত্র অস্ত্র হ’ল “কল্পনা” – লুইস ক্যারল

বাস্তবতা এতই কঠোর যে মাঝে মাঝে বুকের ভিতর গড়ে ওঠা পয়েন্ট টু-পয়েন্ট ভালোবাসাও অসহায় হয়ে যায়-হুমায়ূন আহমেদ

বাস্তবতা নিছক একটি বিভ্রম, যদিও এটি অত্যন্ত স্থায়ী – অ্যালবার্ট আইনস্টাইন

বাস্তবতা অনেক কল্পনা ছুঁড়ে দেয়। জন লেনন

কিছু মানুষ আছেন যারা স্বপ্নের জগতে বাস করেন, কিছু লোক আছেন যারা বাস্তবতার মুখোমুখি হন; তারপরে যারা আছেন তারা অন্যকে পরিণত করেন। – ডগলাস এভারেট

বাস্তবতা হ’ল আমরা সকলেই এই ধারণাটির সাথে একমত – অজানা

বাস্তবতা আদর্শের সাথে খাপ খায় না, তবে এটি এটি নিশ্চিত করে – গুস্তাভে ফ্লুবার্ট

আপনি বিশ্বের সর্বাধিক সুন্দর জায়গা ডিজাইন করতে, তৈরি করতে এবং সজ্জিত করতে পারেন। তবে মানুষ স্বপ্নকে বাস্তব হতে লাগে – ওয়াল্ট ডিজনি

সৎ পরামর্শের চেয়ে কোনো উপহার অধিক মূল্য নয়।
– ইমার সন

কারো অতীত জেনোনা, বর্তমানকে জানো এবং সে জানাই যথার্থ ।
-এডিসন

একজন কতটা উত্তম সেটা তার চেহারায় নয় বরং কথার মাধ্যমে ফুটে ওঠে।

ভালবাসার কথাগুলো হয়তো খুব সংক্ষিপ্ত ও সহজ হতে পারে কিন্তু এর প্রতিধ্বনী কখনো শেষ হয় না।
— মাদার তেরেসা

গর্ব না করাই গর্বের বিষয় । বড় হয়েও নিজেকে ছোট মনে করা গৌরবজনক ।
— প্লেটো

প্রশংসা করতে হবে প্রকাশ্যে কিন্তু সমালোচনা ব্যক্তিগতভাবে।
— এ পি জে আবদুল কালাম

আপনাদের সব কমেন্টের রিপ্লাই করতে না পারলেও অনেক যত্ন নিয়ে পরি। সত্যিই অনেক ভালো লাগে আপনাদের মতামত-গুলো পরে।

#Information: Collected.

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.