আপনি কি জানতেন? বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান কে❓
বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান থেকে বিমান নিয়ে পালিয়ে আসার পরিকল্পনার কথা তার সাবেক প্রশিক্ষক সাইফুল আজমকে জানান। সাইফুল আজম তাতে সায় দেন আর মতিউর রহমান টি-৩৩ বিমান নিয়ে পালিয়ে যান ও শহীদ হন। বিষয় পরে আর গোপন থাকেনি পাকিস্তানি গোয়েন্দারা বিষয়টি জেনে যায় ও গ্রেফতার করে সাইফুল আজমকে। উল্লেখযোগ্য যে বিমান ছিনতাইয়ের সাথে মতিউর রহমান একা জড়িত ছিলেন না আরও কয়েকজন পাইলট তাকে সাহায্য করেছিলো। সাইফুলকে গ্রেফতার করে টানা ২১ দিন রিমান্ডে নিয়ে নিযার্তন করা হয় কে কে জড়িত তাদের নাম বলার জন্য কিন্তু তিনি এত নিযার্তনের পরেও কারও নাম বলেননি।
এই রকম কান্ডে নিশ্চিত ফাসি হতো সাইফুল আজম ও তার নাম না জানা সহযোগীদের। কিন্তু ভারত পাকিস্তানের ১৯৬৫ সালের যুদ্ধে ২ টি ভারতীয় বিমান শুট করা ১৯৬৭ সালে আরব ইসরাইল যুদ্ধে ৪ টি ইসরাইলী বিমান একা শুট করে পাকিস্তানে সবচেয়ে বড় সামরিক পদক পাওয়ার পরও তার ফাসি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কিন্তু সেই সময় আরব দেশ গুলি বিশেষ করে ইরাকের প্রেসিডেন্ট ও জর্ডানের বাদশাহ হস্তক্ষেপে পাকিস্তান তাকে ফাসি দিতে পারেনি। কারণ সাইফুল আজমের ইরাক ও জর্ডান দুই দেশের-ই নাগরিকত্ব ছিলো। ফলে পাকিস্তান বাধ্য হয়ে গোটা মুক্তিযুদ্ধের সময় তাকে বন্দি রাখে। মুক্তিযুদ্ধের সময় অনেক নাম না জানা সেনা সদস্যরাও সাহায্য করেছিলো কিন্তু তাদের নাম ইতিহাসের পাতায় নেই আমরাও জানিনা। তারাও মুক্তিযোদ্ধা সেই সব নাম না জানা যুদ্ধাদের শ্রদ্ধা জানাই।
.
সংগৃহীত
কোন মন্তব্য নেই
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন