আওয়ামিলীগ সরকার অধ্যাপক গোলাম আযম কে কেনো (শহীদ) উপাদি দিলো।
আমরা এমন এক উগ্র ও নির্বোধ জাতি, কোনো সুন্দরীর অভিযোগে তরুণকে গণধোলাই দিয়ে মেরে ফেলি, এবং পরে বুঝতে পারি নিহত লোকটি ছিল সৎ ও নির্দোষ আর মেয়েটি ছিল বেশ্যা.....!
🔴কবিতার পাখি
শিয়ালের হাত থেকে আমাদেরকে বাঘের হাতে জিম্মি করবেন না”
-------অধ্যাপক গোলাম আযম।
*** কবি নজরুল একদিন কথার প্রসঙ্গে বলেছিলেন,“খোদার বক্ষে লাথি মার” এই কথা বলার পর সারা কুমিল্লা উত্তাল হয়ে গেল।
মাওলানারা তাকে কাফের ঘোষণা দিল, আরো বলল-
যে মানুষ খোদার বুকে লাথি মারতে পারে সেই বেয়াদবের জায়গা এই দেশে হবেনা।
কবিকে বলল এর জবাব দিতে হবে।
কবি বললেন ঠিক আছে আমি জবাব দিবো।
আপনারা একটি সমাবেশের আয়োজন করেন।
হাজার হাজার মানুষ উপস্থিত হল।
কবি আসলেন, সবাই কবিকে বেইজ্জত করার প্রস্তুতি সম্পন্ন করল।
কবি মঞ্চে উঠে শুধু দুইটি কথা বললেন, তিনি বললেনঃ খোদা নিরাকার।
তাঁর বুকে কি লাথি মারা সম্ভব?
যে খোদার বুক আছে সেই খোদার বুকে লাথি মারতে বলেছি।
কবি একথার দ্বারা দেব দেবীকে বুঝিয়েছেন ৷
দুধ বিক্রি করে চা খাওয়া জনগণ আর জুব্বা পরা নুরাণী জর্দা দিয়ে পান খাওয়া মাওলানাদের বুঝ হয়ে গেল।
না বুঝে চিল্লাইয়া, এককাপ চার বিনিময়ে বিক্রি হয় একমাত্র হুজুগে বাঙ্গালীরা ৷ স্বাধীনতা যুদ্ধে জামায়াতে ইসলামী যুদ্ধ করেনি।
অস্ত্র হাতে নেয়নি।
এই কারনে রাজনৈতিক ফায়দা লাভের উদ্দেশ্যে তাদের দেয়া হলো রাজাকার উপাধি।
আজ ৪৫ বছরেও কেউ জানতে চাইনি জামায়াতের বক্তব্যটি আসলে কী ছিল?
কেউ জানতে চায়নি জামায়াত ইসলাম কেন সেই দিন অস্ত্র হাতে নেয়নি?
জামায়াত ইসলামী স্বাধীনতা বিরোধী ছিলোনা।
যুদ্ধের কৌশলের বিরোধী ছিল।
মরহুম গোলাম আজম সাহেব শেখ মুজিবকে বলেছিলেন, পূর্ব আর পশ্চিম পাকিস্তান ভৌগলিক সীমারেখার যে পার্থক্য, সেভাবে কোন দেশ চলতে পারেনা।
আমরা আজ না হয় কাল স্বাধীন হবোই হব।
দয়া করে আপনি গান্ধীর ফাঁদে পা দিবেন না।
শিয়ালের হাত থেকে আমাদের বাঘের হাতে জিম্মি করবেন না।
কারণ শিয়াল হাটুর নীচে কামড়ায়।
আর বাঘ মানুষের কলিজা খায়।
শেখ মুজিব গোলাম আজম সাহেবকে আস্বস্ত করলেন যে, আপনি কোন চিন্তা করবেন না।
শেখ সাহেব ৭ই মার্চ ভাষণের একদিন আগেও স্বাধীনতার ঘোষণার বিরুদ্ধে ছিলেন।
কিন্তু কিছু বাংলাদেশী গান্ধীর ভারাটে দালাল শেখ সাহেবকে জোর করে স্বাধীনতা ঘোষণা করাইলো।
যদিও শেখ সাহেবের গোটা ভাষণে স্বাধীনতা ঘোষনার পক্ষে স্পষ্ট কোনো বক্তব্য নেই ৷
এই অগোছালো সিদ্ধান্ত বাংলাদেশের কোন আলেম সমাজ মেনে নেয়নি।
জামায়াতে ইসলামীও তাদের একটি অংশ মাত্র।
সাড়ে সাত কোটি মানুষের মধ্যে এক কোটি। সেসব মানুষও এই স্বাধীনতা চায়নি। আপনি আপনার এলাকায় যাচাই করুন যারা মুক্তিযোদ্ধা আছে?
যুদ্ধ বেধে গেল। পাকিস্তানিরা
ভারতের উপর ক্ষেপে গিয়ে পাইকারী ভাবে হিন্দুদের হত্যা করা শুরু করে।
ভারত সরাসরি যুদ্ধে অংশ গ্রহণ করে।
দেখা গেল উভয় পক্ষে মুসলমান মরতেছে, মজা মারতেছে ভারত।
এরিই মধ্যে ভারত আবার পাকিস্তান বাহিনীর প্রধান নিয়াজীকে যুদ্ধে বিরতির প্রস্তার দিল।
নিয়াজী মেনে নিল।
যুদ্ধ বিরতি হয়ে গেল ৯৩ হাজার সৈন্যের পরাজয়।
এগুলো সবার জানা বিষয়।
কিন্তু এই বাস্তব ইতিহাস আজ বিলুপ্ত।
সে ইতিহাস আজ হাস্যকর।
এই অপরাধে আজ জামায়াতের উপর এতো নির্যাতন, নেতারা অন্ধকার কারাগার প্রকৌষ্ঠে আবার অনেকেই ফাঁসির মঞ্চে।
*** কবি নজরুলের কথার মত বাঙ্গালিরা কিছুদিন পর বুঝতে শুরু করে জামায়াতে ইসলামীর ভাষা।
স্বাধীনের পর যখন ভারতীয় সৈন্যদল বাংলাদেশের সব জিনিস লুট করে নিয়ে যাচ্ছে তখন সেক্টর কমান্ডার মেজর জলিল অস্ত্র উচিয়ে বলেছিলেনঃ আমাদের আরো একটি মুক্তিযুদ্ধের দরকার।
স্বাধীনের পর শুরু হল ভারতের যুদ্ধের বিনিময়।
নয় মাস আগেও শেখ সাহেবের সাথে কথা বলতে গান্ধীর বুক কাঁপতো।
অথচ; সেই গান্ধী শেখ সাহেবকে ২৫ বছরের গোলামী চুক্তি করাইলো।
এখনো জাতি জানেনা, এই গোলামী চুক্তিতে আসলে কী লিখা ছিল?
সেখানে সে চুক্তিতে লেখা ছিল শেখ সাহেবকে গান্ধীজি অনুরোধ করে বলেছিলঃ ফারাক্কা বাঁধটি একটু খুলে দাও' শুধু পানির কিউসেক পরীক্ষা করার জন্য।
৭ দিন পর আবার বন্ধ করে ফেলব।
কিন্তু আজ ৪৫ বছরে হয়ে গেলো, এখনও সেই ৭দিন শেষ হলো না।
হঠাৎ আমরা হয়ে গেলাম এক হিন্দু রাজার গোলাম।
এই গোলামীর বোঝা বহন করে’ এখনও চলছি।
এখন একজন 'বঙ্গবীর'খেতাব প্রাপ্ত কাদের সিদ্দিকী যখন বলেনঃ
স্বাধীনতা যুদ্ধ করে ভুল করেছি।
জামায়াত যেটা ৪২ বছর পূর্বে বুঝেছিল, সেটা আমরা আজ বুঝতেছি।
অনেক মুক্তিযোদ্ধা যখন বলেঃ
যদি এমন হবে জানতাম- "তবে জীবনবাজী রেখে ঐ শেয়ালদের জন্য স্বাধীনতা যুদ্ধ করতাম না’
তাহলে এখন কী প্রমাণিত হল?
৭১ সালে জামায়াতে ইসলামীর সিদ্ধান্ত সঠিক ছিল।
আজ ন্যায্যমুল্যে আমাদের কেনা স্বাধীনতা ‘বিনামুল্যে’ ভোগ করছে ভারত।
*** বাঙ্গালি যেমন চিন্তা না করে কবি নজরুলকে কাফের ডাকলো
সেই বাঙ্গালী-ই না বুঝে জামায়াতে ইসলামীকে রাজাকার ডাকা শুরু করল এবং তাদের সাথে যোগ দিলো কিছু ফতোয়াবাজরা।
এমন একদিন আসবে যেদিন বাঙ্গালী জাতি নিজের ভুল বুঝে মরহুম গোলাম আযমের কবর ধরে মাফ চাইবে।
ওহে মহাবিশ্বের মহান সৃষ্টিকর্তা রব্বুল আলামীন ! আপনি ভাষাসৈনিক আমীরে জামায়াত অধ্যাপক গোলাম আযম স্যারসহ সকল দ্বীনি মুজাহিদ শহিদ (রহঃ) দেরকে জান্নাতের সর্বোচ্চ উত্তম মাক্বাম দান করুন।
-আল্লাহুম্মা আমীন।
কোন মন্তব্য নেই
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন