জানেন কি জানেন! গত ১২ বছরে (২০০৮ থেকে) দেশ থেকে লুটপাটের পরিমান কত?
গত ১২ বছরে দেশ থেকে লুটপাটের পরিমান প্রায় ৮ (আট) লক্ষ কোটি টাকা!!
যা দিয়ে করা যেতো নিজস্ব খরচে ৩০ টি পদ্মা সেতু!
ঘোষণা করা যেতো ৩ বছরের অর্থ বাজেট !
বাংলাদেশকে করা যেতো একটি উচ্চ আয়ের দেশ !
৪০ লক্ষ পরিবারকে দেয়া যেতো প্রায় ২০ লক্ষ টাকা করে যা দিয়ে সেসব পরিবার হয়ে যেতো উচ্চ আয়ের পরিবার !
এবার আসুন জেনে নেই এর কিছু অংশ কিভাবে লুট করা হয় -
- ৩ বছর আগে ২০১৬ সালে মূলধন ঘাটতির পরিমাণ ছিল ১৯ হাজার ৪৬৬ কোটি টাকা যা কোনভাবেই নতুন করে আয় করা সম্ভব না ।
- ২০১৬ সালে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ থেকে চুরি হয় ৭৩৬০ কোটি টাকা।
- তিন ব্যাংকের এটিএম থেকে চুরি হয় ২০ লক্ষ টাকা।
- বানিজ্যিক ব্যাংক থেকে জালিয়াতি করা হয়েছে ১লক্ষ ৪৮হাজার কোটি টাকা। যার মুনাফা প্রতি মাসেই ব্যাংক থেকে গ্রাহকদের দেওয়া হচ্ছে ।
- বাংলাদেশ ব্যাংকের ২০১৫ সাল পর্যন্ত ব্যাংকি খাতের অবলোপনকৃত ঋণের পরিমান ৩৮ হাজার কোটি টাকা, যা কখনোই আদায় করা সম্ভব না।
- বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং খাতের খেলাপি ঋণের পরিমান ৫৪ হাজার কোটি টাকা যা থেকে একদিনও কোন সুদ আসেনা।যা সংগ্রহ করতে প্রতিনিয়ত ব্যাংক কে সুদ দিতে হচ্ছে ।
- রাষ্ট্রায়ত্ত বানিজ্যিক ব্যাংকের ঋণের পরিমান ৬৭ হাজার কোটি টাকা ।
- ২০০৯/১০ এ শেয়ার বাজার কেলেংকারিতে জালিয়াতি হয়েছিলো প্রায় ৪১হাজার ৩৮৩ কোটি ৫২ লক্ষ টাকা । সে সময় সেই কেলেঙ্কারির কারনে রাষ্ট্রের ক্ষতি হয়েছিলো প্রায় ২ লক্ষ কোটি টাকা ।
- ডকুমেন্ট কারসাজি, মিথ্যা ঘোষণা,দলীল জালিয়াতি সম্পত্তির বর্ধিত মুল্যের জালিয়াতি মোট ৬ টি ব্যাংকে এর পরিমান প্রায় ১৫ হাজার কোটি টাকা।
- হলমার্ক জালিয়াতি ৩ হাজার ৬০৬ কোটি টাকা ।
- এমএলএম প্রতিষ্ঠান (ডেস্টিনি , যুবক ইত্যাদি ) জালিয়াতির পরিমান প্রায় ১২ হাজার কোটি টাকা ।
- ২০১৯ সালে ফের শেয়ার বাজার থেকে উধাও ২৭ হাজার কোটি টাকা!
- ২০১৪ সালে দেশ থেকে পাচার হয় প্রায় ৭২ হাজার ৮৭২ কোটি টাকা। (প্রথম আলো )
- আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল এর ২০১৯ এর হিসেবে দেশে খেলাপি ঋণ এর পরিমাণ প্রায় ২ লাখ ৩৬ হাজার কোটি টাকা।’
এ ছাড়াও আরও বহুবার বিভিন্ন খাতে ও উন্নয়নের নাম করে ২ টাকার কাজ ২০ টাকার বাজেট দেখিয়ে প্রায় কয়েক লক্ষ কোটি টাকা লুট হয়ে যায় বাংলাদেশ থেকে, যার হিসাব আজ ও পাওয়া যায়নি।এতো এতো টাকা লুট হয়ে যাবার পর ও আমরা আছি মাহফুজুর রহমানের ঘুম আসেনা গানের বিশ্লেষণে।
এভাবে আবেগ নিয়ে জড়িয়ে থাকলে একদিন হয়তো এই সম্পূর্ণ দেশটি লুট হয়ে যাবে কিন্তু আমরা টের পাবনা । আর যদিও টের পাই তখন হয়তো আর আমাদের কিছুই করার থাকবেনা ।
তখন ইতিহাসে হয়তো লেখা থাকবে -
"রোম যখন আগুনে পুড়ছিল, নিরো তখন তার প্রাসাদের বারান্দায় দাঁড়িয়ে বেহালা বাজাচ্ছিল। আর বাংলাদেশ যখন বিক্রি হচ্ছিল, বাংলাদেশীরা তখন মাহফুজুর রহমানদের নিয়ে ট্রোল করতে ছিল" ।
এবার তো বাঙ্গালী আপনারা অলসতার ঘুম ভেঙ্গে জেগে উঠুন !!
কোন মন্তব্য নেই
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন